আমাদের পাড়ায় থেকে থেকে জ্বলে ওঠে বাহারি আলো। সমস্ত উৎসবেই আলো জ্বালাতে হবে দিব্যি দেয়নি কেউ। কিন্তু সমস্ত উৎসবই পালন হচ্ছে সুদিন আসছে ভেবে। আলো আর সুদিন নিয়ে বলতে বসলে মনে হবে খুন খারাপি, প্রেম প্রত্যাখ্যান এইসব আমাদের পাড়ায় হয়নি কখনও। বস্তুত আমাদের পাড়াটা টিপটপ, গোছালো।
সকালের চায়ের কাপ থেকে কিছুটা ধোঁয়া নিয়ে বানিয়ে ফেলছি একটা মৃত্যুঞ্জয়ী কুহক। কথায় কথায় ভলিয়েস্কি, চার্বাক, জিডিপি, সপ্তাহান্তে সভা - সমাবেশ। আলোর চকমকি হাতে এমনভাবে হাত ঘোরাছি মনে হবে ভারতবর্ষ শ্রীলংকা হয়ে যাবে আমাদের পাড়াটা না থাকলে!
আমাদের পাড়ায় থেকে থেকেই শোনা যায় গর্জন।
সমস্ত প্রতিবাদেই ভয়ংকর ব্রহ্মনাদ হবে এমনটা নয়। রিকশাওয়ালাকে পাঁচটাকা বেশি দিতে হলে, মাছওয়ালাকে আঁশ ছাড়ানোর পয়সা ধরে দিতে গেলে, পাশের বাড়ীর ড্রেনের জল সদর দরজায় জমা হলে যে আর্তনাদ হয় তাতে মনে হয় আমাদের পাড়াটা আপোষহীন।
শুধু মোড়ের মাথা থেকে চাকরীর দাবিতে অনশন করা ছেলেমেয়েগুলোকে যখন টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুললো পুলিশ, আমরা তখন নাক ডেকে ঘুমাচ্ছি।
আমাদের পাড়াজুড়ে নাসিকার গর্জন।
রাজারহাট, কলকাতা।